জাতীয় দৈনিক নয়া শতাব্দীর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান মো.মুক্তার হোসেন বাবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মো.মুক্তার হোসেন বাবু বাদী হয়ে হালিশহর থানায় ১৮ সেপ্টেম্বর একটি জিডি লিপিবদ্ধ করেন। হালিশহর থানার জিডি নং- ৮৫৮।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন,সাংবাদিক মো.মুক্তার হোসেন বাবু এর মামাত ভাই মো.রাকিব ৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ক্রয় করেন। মোবাইল ফোন ক্রয় করার ১ সপ্তাহ পর বিবাদী পুনরায় মোবাইল ফোনটি রাকিবের কাছ থেকে নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।
১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতে এ-ব্লক ১৩ নং লেইনের নিজ বাড়ির সামনে এমন সময় সাংবাদিক মো.মুক্তার হোসেন বাবু উভয়ের ঝগড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত বিবাদী হালিশহর এলাকার চিন্থিত কিশোর গ্যাং লিডার মো.শরীফ ওরফে ডাকু শরীফ সাংবাদিক মো.মুক্তার হোসেন বাবুর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উচ্চস্বরে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করিতে থাকে এবং সাংবাদিক মো.মুক্তার হোসেন ও মামাত ভাই রাকিবকে যে কোন স্থানে একাকি পেলে জানে মেরে ফেলা ও প্রাণ নাশের ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, কিশোর গ্যাং লিডার খ্যাত ডাকু শরিফ বিগত আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর দেশীয় অস্ত্রসহ নৃশংস হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, হালিশহর এব্লক ও বিব্লক এলাকায় প্রকাশ্যে ডাকু শরিফ ও ইয়াবা মেস্তাকিমের নেতৃত্বে বিভিন্নস্থানে ইয়াবা,গাজা,ফেনসিডিলসহ মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিশোর গ্যাং লিডার ডাকু শরিফের বিভিন্ন অনিয়ম ও একাধিক নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত থাকার ভিডিও চিত্রের ফুটেজসহ অভিযোগের ডকুমেন্টস দৈনিক নয়া শতাব্দীর চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে রক্ষিত আছে। এবং উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক মো.মুক্তার হোসেন বাবুকে জানে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দেয়ার দৃশ্য সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে দৈনিক নয়া শতাব্দীর প্রতিনিধি চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিক মো.মুক্তার হোসেন বাবু কে জানে মেরে ফেলার হত্যার হুমকি ধমকি নিয়ে সাধারন ডায়েরী হয়েছে বলে জানান তিনি। উক্ত জিডি তদন্ত করে প্রমান পেলে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আস্বস্ত করেন।