জাপানের ১০২তম প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। আগামী মঙ্গলবারের পার্লামেন্ট অধিবেশনের পর ইশিবা তার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আইনপ্রণেতাদের চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে দলটির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন শিগেরু ইশিবা। এলডিপি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ায় এই দলের নেতা হিসেবে যিনি নির্বাচিত হন, তিনিই হন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
এদিন ৬৭ বছর বয়সী শিগেরু ইশিবা নির্বাচনে কট্টর জাতীয়তাবাদী সানায়ে তাকাইচিকে পরাজিত করেন। এটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত নেতৃত্বের নির্বাচন ছিল। এখানে রেকর্ড নয়জন প্রার্থী মাঠে ছিলেন।
টোকিওতে এলডিপির প্রধান কার্যালয় নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দেন দলটির আইনপ্রণেতা ও আঞ্চলিক নেতারা। ইশিবার পক্ষে পড়ে ২১৫ ভোট আর তাকাইচি পান ১৯৪ ভোট।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ইশিবা বলেন, ‘আমাদের জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। সাহসের সঙ্গে সত্য বলতে হবে এবং জাপানকে একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলে মিলে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, দলের তহবিল কেলেঙ্কারি এবং জনপ্রিয়তায় ধসের মুখে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা করেছিলেন। একই সঙ্গে এলডিপি প্রেসিডেন্টের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০২১ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নেন কিশিদা। তার তিন বছরের শাসনকালে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ছাড়াও করোনো মহামারি সামাল দিয়েছেন তিনি। তবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে সমালোচনার কাঠগড়ায়ও দাঁড়িয়েছেন তিনি।