চট্টগ্রামের রাউজানে বিগত ১৫ বছর ধরে ছয় পরিবারের উপর জুলুম নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসী সাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ ছোট্টয়্যা ও তার লালিত সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে প্রায় ১৫ বছর বাড়ি ছাড়া ছিল উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের মধ্যম কদলপুর রমজান আলী চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা এ.কে. এম আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী ও এ.কে.এম মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ ছয় ভাইয়ের পরিবার। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ১৫ বছর ধরে বাড়িছাড়া ছয় পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে আসলে
সন্ত্রাসী ছোট্টয়্যার নেতৃত্বে ছয় পরিবারে পুনরায় হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ করেছেন পরিবার গুলো।
৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাউজান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি ছয় পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ.কে.এম মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন ১ নভেম্বর দীর্ঘ ১৫ বছর পর বসত ভিটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পূর্বক জরাজীর্ণ থাকার বসত ঘর গুলো মেরামত করতে যায়। এসময় একটি মাইক্রো বাস যোগে সাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ ছোট্টয়্যার নেতৃত্বে ১০/১২জন অস্ত্র নিয়ে আমাদের বড় ভাই সাইফুদ্দিন চৌধুরী ও আনোয়ারুল আজীম চৌধুরীসহ কাজের লোকজনকে মারধর করে। একই সাথে মোট অংকের চাঁদা দাবি করেন। এ ব্যাপারে রাউজান থানায় এজাহার দায়ের করি। এ ঘটনার দুইদিপর আমার ভাই জয়নাল আবেদীন দুইজন শ্রমীক নিয়ে বাড়ি ঘর পরিষ্কার করতে গেলে একই কায়দায় মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে প্রয়োজনী কাগজপত্র সম্বলিত ব্যাগ ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর রাউজান থানায় একটি মামলা কার। পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগটি এজাহারভুক্ত হয়। এ মামলায় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, ৮ নভেম্বর ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে থাকার ঘর, রান্না ঘর ও দুইটি কাচারী ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দেয়। ঘরে থাকা মূল্যেবান জিনিষপত্র প্রায় ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। তিনি পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোষর সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর লালিত সন্ত্রাসী সাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ ছোট্টয়্যার সহ হামলাকারী সকল সন্ত্রাসীদেও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।