পাকিস্তানে বিমান বিধ্বস্ত/ নিহত বেড়ে ৯৭, জীবিত উদ্ধার ৩/ইমরান খান ও মোদীর শোক

  |  শনিবার, মে ২৩, ২০২০ |  ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
পাকিস্থানে বিমান বিধ্বস্ত
24ghonta-google-news

২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : পাকিস্তানের করাচিতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯৭ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে জীবিত উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন। এছাড়া হতাহতের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে বলে ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

24ghonta-google-news

পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের (পিআইএ) বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু মানুষ হতাহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার (২২ মে) এক টুইটবার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দেশটির বিমান চলাচল কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) জেট বিমান এ-৩২০ এ, ৯১ জন যাত্রী এবং ৮ জন বিমান কর্মী ছিলেন। লাহোর থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করে পাকিস্তানের অন্যতম ব্যস্ত একটি বিমানবন্দর করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানটি বিধ্বস্তের আগে দুই থেকে তিন বার অবতরণের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষমেশ করাচির একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে যায় বিমানটি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিন্নাহ বিমানবন্দর থেকে বিমানটি মাত্র প্রায় এক মিনিটের দূরত্বে ছিল।

শাকিল আহমেদ নামে স্থানীয় একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিমানটি প্রথমে একটি মোবাইল টাওয়ারে আঘাত করে। এরপর বাড়ির উপরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, দুর্ঘটনায় আরও অনেকে হতাহত হয়েছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।

পাকিস্তানের টিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, ওই এলাকার বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ উজায়ের বিবিসি উর্দু বিভাগকে জানিয়েছেন, বিকট আওয়াজ শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, প্রায় চারটি বাড়ি পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। প্রচুর ধোঁয়া আর আগুন জ্বলছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইট বার্তায় জানান, দুর্ঘটনার খবরে তিনি মর্মাহত এবং দু:খিত। সেইসঙ্গে অবিলম্বে ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের(পিআইএ) বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, পাকিস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। নিহতদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত এর আগেও গত ২০১০, ২০১২ ও ২০১৬ সালে পৃথক তিনটি বিমান বিধ্বস্থের ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। ২০১০ সালে পাকিস্থানের ইসলামাবাদের কাছে বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ারব্লু পরিচালিত একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ১৫২জন যাত্রীর সবাই মারা যায়। সেটি ছিল পাকিস্তানের বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

এরপর ২০১২ সালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় রাওয়ালপিণ্ডিতে অবতরণ করার সময় পাকিস্তানের ভোজা এয়ার পরিচালিত বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিধ্বস্ত হলে ১২১জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু-র সবাই প্রাণ হারান।

তাছাড়া ২০১৬ সালে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল থেকে ইসলামাবাদ যাবার সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আগুন ধরে গেলে বিস্ফোরিত হয়ে মারা যায় ৪৭জন।

২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

24ghonta-google-news
24ghonta-google-news