পুলিশের ষ্টিকার ব্যবহার করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির সময় চাকুরিচ্যুত এক সাবেক পুলিশ সদস্য ও এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। এসময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ষ্টিকার ব্যবহৃত একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।আটককৃতরা হলো চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি সিন্ডিকেটের মূলহোতা মামুন (৪২) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৬)।
গত সোমবার (১৭ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ১২ টায় চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আলীশাহ পাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর মিডিয়া উইং জানায় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আলীশাহ্ পাড়া এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ একটি চক্র চোরাই মোটরসাইকেল সহ অবস্থান করছে। খবর পেয়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনা স্থল থেকে আসামী চোরাই মোটরসাইকেল সহ মোঃ মামুন উর রশিদ (৪২), পিতা-মোঃ আবু তাহের এবং ২। আকলিমা বেগম (৩৬), স্বামী-মামুন উর রশিদ, উভয় সাং-আলিশাহ্ পাড়া, থানা-ইপিজেড, চট্টগ্রাম মহানগরীদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে একটি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী পূর্বে এক সময় বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য ছিল। পুলিশে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের কারণে চাকুরিচ্যূত হয়। তার পর থেকে সে বিভিন্ন ধরণের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। অপরাধের মধ্যে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় চক্র পরিচালনা ছিল অন্যতম। সে পূর্বে পুলিশে চাকুরি করার সুবাদে তার পরিচালিত চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহকৃত চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় করাকালে প্রত্যেকটি চোরাই মোটরসাইকেলের সামনে পুলিশ স্টিকার ব্যবহার করে স্থানান্তরিত করে থাকে।
এছাড়া তার চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সহিত প্রত্যক্ষভাবে তার স্ত্রী আকলমা বেগম এর সম্পৃক্ততা থাকায় তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান এলাকার অভি এবং চট্টগ্রাম মিরসরাই থানার মেহেরাজচৌধুরী অনি তার চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের অন্যতম সদস্য বলে জানা যায়। তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় করে বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে থাকে। তার হেফাজতে হতে জব্দকৃত চোরাই মোটরসাইকেল টিও তার সহযোগী মেহেরাজ চৌধুরী অনির মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল এবং সে উক্ত মোটরসাইকেল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তার নিজ হেফাজতে রাখে। তার পরিচালিত চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহীত চোরাই মোটরসাইকেল সমূহ তার চক্রের অন্যতম সহযোগী অভির মাধ্যমে কাস্টমস্ এর নকল কাগজপত্র তৈরী করে সেই কাগজপত্রের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল বিক্রয় করে থাকে বলে জানা গেছে।